হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টার চড়ে বাড়ি ফিরেছেন গ্রিস প্রবাসী বাবা সায়মন আহমেদ। এ সময় শত শত মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে জড়ো হন। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রিস প্রবাসী সায়মন আহমেদ স্ত্রী-সন্তানসহ হেলিকপ্টার নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন।
সায়মন আহমেদ নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রিসের শাহ জালাল স্টোর অ্যান্ড মোবাইল সেন্টার ও নাবিলা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী।
জানা যায়, শনিবার সকালে গ্রিস থেকে বাংলাদেশে আসেন প্রবাসী সায়মন আহমেদ। তাঁর মেয়ে নাবিলার স্বপ্ন বাবার সঙ্গে হেলিকপ্টার চড়ে বাড়ি ফিরবে। সেই স্বপ্ন পূরণে শনিবার দুপুরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী এয়ার অ্যান্ড হেলিকপ্টার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রবাসী সায়মন আহমেদ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একটি হেলিকপ্টার যোগে নবীগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে তাঁদের বহনকারী হেলিকপ্টার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। এর আগে থেকে হেলিকপ্টার আসার খবর পেয়ে আশপাশের শত শত উৎসুক জনতা ভরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে স্বাগত জানান।
শামীম আহমদ মহসিন জানান, সায়মন একজন পরোপকারী, সে সর্বদা মানুষের পাশে থাকে, সায়মন গ্রিস থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টার যোগে বাড়ি ফিরছে, এমন খবর পেয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতে আসলাম।
গ্রিস প্রবাসী সায়মন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমি গ্রিসে বসবাস করছি, আমার মেয়ে আবদার করেছিল হেলিকপ্টার দিয়ে বাড়িতে আসবে, নাবিলার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বাড়ি ফিরেছি, আমি আমার মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি, আমি খুব আনন্দিত।’