শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শাল্লার আলোচিত যুবক ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে জলমহালের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সৈনেল দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল শনিবার মামলার তদন্তকাজে পুলিশ এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোয়াগাঁও গ্রামের পাশে ছন উল্লার খাল সিলেট বিভাগীয় মোতওয়াল্লা কার্যালয় থেকে খান বাহাদুর ওয়াকফ এস্টেট থেকে ১৪৩০ বাংলা থেকে ১৪৩২ বাংলা পর্যন্ত ঝুমন দাসের নামে লিজ নেওয়া হয়। পরে ওই জলমহালে আরও পার্টনারশিপ রাখা হয়। ওই পার্টনারশিপে সৈনেল দাস (১ আনা শেয়ার) ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঝুমনকে দেন। পরবর্তী সময়ে ঝুমন ওই টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাই ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে সৈনেল দাস আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার বাদী সৈনেল দাস বলেন, ঝুমন দাস খারাপ প্রকৃতির লোক। প্রতারণা করে তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জলমহালের নামে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতারণার এই মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঝুমন দাস মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন।’
তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন ঝুমন দাস। তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা। জলমহালের নামে মামলার বাদীর কাছ থেকে তিনি কোনো টাকা নেননি। এর আগে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমালোচনা করে পরিচিতি পান ঝুমন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাল্লা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পান্না লাল দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে জলমহালের টাকা আত্মসাতের মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।