সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শনি হাওরের নান্টুখালী ও লালুর গোয়ালা বাঁধ দুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চলতি বছর এই হাওরে ৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় নান্টুখালী বাঁধের কিছু অংশ ধসে যায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষকদের প্রচেষ্টায় বাঁধটি কোনো রকমে আটকানো হয়েছে।
জানা যায়, রাত ২টার দিকে স্থানীয় কৃষকদের তথ্য পেয়ে উপজেলা সদরের মসজিদগুলোতে মাইকে প্রচার চালােনা হয়। পরে সাহরি শেষ করে গভীর রাতেই স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বাঁধে উপস্থিত হন। এ সময় প্রায় অর্ধশত কৃষক নান্টুখালী ও লালুর গোয়ালা বাঁধে মাটির বস্তা ফেলে চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়িবাঁধ দেন।
শনি হাওরপাড়ের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে নান্টুখালী বাঁধ ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে বাঁধ রক্ষায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে। তবে বাঁধ দুটির অবস্থা বেশি ভালো নয়, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে হাওরপাড়ের হাজার হাজার কৃষক অনিদ্রায় রাত কাটাচ্ছেন।
শনি হাওরপাড়ের নোয়ানগর গ্রামের কৃষক সুভাষ দাস ও পুলক তালুকদার বলেন, শনি হাওরের নান্টুখালী ও লালুর গোয়ালা বাঁধ দুটি সামান্য ধসে গেছে এমন খবর পেয়ে বাঁধ দুটি রক্ষায় তাৎক্ষণিক আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি। বাঁধগুলোর অবস্থা ভালো নয়, যেকোনো সময় ভেঙে হাওর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘দুটি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই সেখানে গিয়েছিলাম। হাওরপাড়ের কৃষকদের সহযোগিতায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বাঁধ রক্ষায় কাজ করা হয়েছে। হাওরবাসীর ফসল রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।’