পাঁচ বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি-বলে মালিক নানা টালবাহানা করছে। এই করতে করতে ২০২৩ সাল চলে এসেছে। এখন পর্যন্ত ডিসি অফিসে আমরা দুইবার আসলাম। এই মালিক পরিবর্তন না হলে সমস্যা চলতেই থাকবে। তবে আমাদের বকেয়া টাকা না পেলে আমরা আর কাজে ফিরব না। এমনই মন্তব্য করেছেন মানববন্ধনে আসা চা শ্রমিক সমীরণ।
বকেয়া টাকার দাবিতে আজ বুধবার ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকেরা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে ওই দুই বাগানের কয়েক শ নারী-পুরুষ শ্রমিক এতে অংশ নেয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘যত দিন ধরে এই মালিক বাগানের দায়িত্ব নিয়েছেন, তত দিন থেকে আমাদের এই সমস্যা চলছে। আমাদের ঘর–বাড়ি ঠিক নাই। বাইরেও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ঘরের ভেতরেও ভিজতে হয়। মালিক শুধু তারিখে ওপর তারিখ করছে। আমরা আর এই মালিক চাই না।’
তারা আরও বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য পাওনার জন্য আমরা গত ১৮ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। মহাসড়ক অবরোধ করে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়েছি। আমরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে আছি। অতি দ্রুত আমাদের টাকা প্রদান করা হোক।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘সমঝোতা সভায় ২ আগস্ট শ্রমিকদের ২৪ লক্ষাধিক টাকা পাওনা পরিশোধ করবেন বলে মালিক কথা দিয়েছেন। তবে তিনি বারবার তারিখ করেও টাকা দেননি। তাই তার ওপর আস্থা রাখা কঠিন।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পাল, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহারীয়ার, বাওয়ানী টি এস্টেটের চেয়ারম্যান জি কে মাইনুদ্দিন চৌধুরী, বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফখরুল, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা মো. শফিকুল ইসলাম, চা শ্রমিক নেতা খাইরুন আক্তার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রফিকুল আলম।