কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
দেশের অন্যতম পর্যটন জেলা মৌলভীবাজার গত দুই মাস ধরে পর্যটক শূন্য। ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে পর্যটন শিল্পের বড় ধস পড়েছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ পর্যটক কমে গেছে। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট, হোটেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে আসছে।
বেশির ভাগ পর্যটন রিসোর্টগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দিতে পারছে না। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
পর্যটন-ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, হঠাৎ করে দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বড়সড় লোকসানে পড়তে হয়েছে তাঁদের। ছোট ছোট রিসোর্টগুলোতে তালা ঝুলছে। বড় রিসোর্টগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৯০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। সবকিছু মিলে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও রিসোর্ট ঘুরে দেখা গেছে, জেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় শতাধিক রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। ছোট রিসোর্টে গত দুই মাস ধরে কোনো পর্যটক আসেননি। বড় রিসোর্টে খুবই কম পর্যটক এসেছেন। আগাম বুকিং প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, শ্রীমঙ্গল চা-বাগানে স্থানীয় কিছু পর্যটক দেখা গেলেও বাইরের কোনো পর্যটক দেখা যায়নি।
শ্রীমঙ্গল ট্যুর অপারেটর অ্যান্ড ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলম জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা আগাম সব বুকিং বাতিল করে দেন। এতে করে পর্যটন শিল্পের সব ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন।
এক রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা এতটাই খারাপ যাচ্ছে যে স্টাফদের বেতন ও বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছি না। যারা আগাম বুকিং করেছিলেন তারা সব বাতিল করেছেন।’
শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্ট এন্ড গলফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই মাসে আমরা ৫-৬ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। স্বাভাবিক ব্যবসার তুলনায় ৯০ শতাংশ ব্যবসা কমে গেছে। অগ্রিম বুকিং যা ছিল প্রায় সব বাতিল করে দিয়েছেন।’