হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সীমান্তের ওপারে ভারতের ভেতরে জহুর আলী (৫০) নামের এক বাংলাদেশির লাশ নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা, বিএসএফ জহুরকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। উপজেলার বাল্লা সীমান্তের বড়কিয়া এলাকায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত জহুর আলী চুনারুঘাটের গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের গণকিপাড়ার মনসুব উল্লাহর ছেলে। তাঁর লাশ ভারতের খোয়াই থানা-পুলিশ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে জহুর আলী একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাল্লার গুইবিল সীমান্তে যান। এ সময় বিএসএফ ধাওয়া দিয়ে জহুর আলীকে ধরে ফেলে। তাঁর সঙ্গী পালিয়ে যান। বিএসএফ জহুর আলীকে নিয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা জানতে পারেন, জহুরের লাশ খোয়াই পুলিশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের ধারণা, জহুরকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ সীমান্তে ফেলে রেখে গেছে বিএসএফ।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বড়কিয়া সীমান্তে এক বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ খোয়াই পুলিশ স্টেশনের পুলিশ নিয়ে গেছে। লাশ খোয়াই হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির অপারেশন অফিসার আদম আলী বলেন, ‘জানতে পেরেছি এক বাংলাদেশির লাশ ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় লাশ তারা নিয়ে গেছে। এখনো আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারিনি। কীভাবে মারা গেছেন, তাও জানা যায়নি।’