হোম > সারা দেশ > সিলেট

সাবেক মন্ত্রী মান্নানের জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের হট্টগোল, এজলাস ছাড়েন বিচারক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন শুনানি নিয়ে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। আজ বুধবার সকালে আদালতে জামিন শুনানি শুরুর সময় এ ঘটনা ঘটে। 

বেলা ১১টার দিকে এম এ মান্নানের জামিন শুনানিতে দুপক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছাড়েন বিচারক। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এজলাসে ওঠার পরই দুপক্ষের হট্টগোল শুরু হয়। 

এ ঘটনার পরে এজলাস ছাড়েন তিনি। পরে বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শুনানির সময় নির্ধারণ হয়। সে সময় অসুস্থ বিবেচনায় জামিন দেওয়া হয় তাঁকে। 

তবে শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেননি। এর আগে সকালে জামিন শুনানির সময় তাঁরা শুনানি বর্জন করে চলে যান। 

এম এ মান্নানের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সুনামগঞ্জে হওয়া একটি মামলায় এম এ মান্নান ২১ দিন ধরে জেলহাজতে রয়েছেন। তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ অসুস্থ মানুষ। চলাফেরাতে করতে অক্ষম। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় মাননীয় আদালত ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ 

আব্দুল হামিদ আরও বলেন, ‘অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে গতকাল বিচারকের কাছে জামিন আবেদন জানানো হয়। এ সময় বিচারক আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।’ 

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শেরেনুর আলী বলেন, ‘বিচারক এজলাসে আসার পর দুপক্ষের হট্টগোল হয়েছে। আমরা বলেছি, এই মামলাটা এই আদালতে অস্বাভাবিকভাবে আনা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বাদীপক্ষ জানি না। এ নিয়ে আজকে শুনানি করতে চাই না। অন্য মামলার মতো এই মামলার শুনানির তারিখ পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য আদালতকে বলেছি আমরা। কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনতে চাননি। আসামিপক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তোড়জোড় করেছে। এ নিয়ে হট্টগোল হয়েছে।’ 

বেলা ৩টার দিকে এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুরের পর অ্যাড. শেরেনুর আলী বলেন, ‘জামিন দেওয়া না দেওয়া আদালতের এখতিয়ার। যে প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এর প্রতিবাদ করেছি আমরা।’ 

শুনানিতে পিপি–এপিপিদের ভূমিকা কী ছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পিপি–এপিপিরা রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে থাকার কথা। তাঁরা আসামি পক্ষে থেকেছেন। নিম্ন আদালতেও এই বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। আজকেও করেছি। এই পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জে বিচার কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।’ 

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাড. মল্লিক মইনউদ্দিন সোহেল ও অ্যাড. মাসুক আলম এর আগে সকালে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। 

এদিকে, বেলা ১১টার দিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এম এ মান্নানের বিচারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। 

এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাসা থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ শহরে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন।

সিলেটে বিপুল পরিমাণে চোরাচালানের মালামাল জব্দ

সিলেটে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ট্রাকচালক আটক

দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ ভারতীয় নাগরিক আটক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মামলা-বাণিজ্য

কমলগঞ্জে পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

পা পড়ে না চার সেতুতে

এক মাসেও মাটি পড়েনি ফসল রক্ষা বাঁধে

শতাধিক পণ্যে ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী কেউ যেন আমাদের মাথার ওপর না বসে: ফুলতলীর পীর

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

সেকশন