সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা গলা কাটা বাংলাদেশি কিশোর মাসুমের (১৫) লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, ওই দিন বিকেলে সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি এলাকার ১৩১২-৮ পিলারের পাশে ভারতের অভ্যন্তরে ওই কিশোরের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। নিহত মাসুম আহমদ কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইলিয়াছ হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় থানা–পুলিশ আমাদের ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। মাসুম কীভাবে খুন হয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না। এমনকি তার পরিবারও বলতে পারছেন না।’
নিহতের বাবা নুরুল হক বলেন, ‘মাসুমের লাশ বাড়িতে আনার পর আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জানাজার পর গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নকৃত ডান হাতটিও পাওয়া যায়নি। মাথার সামনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ছেলের অর্ধগলিত বিকৃত লাশ দাফন করেছি।’
লাশ হস্তান্তরের সময় ভারত সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিব) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানা এবং বাংলাদেশের কানাইঘাট থানা-পুলিশও উপস্থিতি ছিল।