মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের পর বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য সোনিয়া আক্তারও (১২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ বুধবার ভোরে মারা যায় সে। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে দগ্ধ অবস্থায় সোনিয়া আক্তারকে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী এলাকায় বজ্রপাতে বিদ্যুতের মেইন লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বসতঘরের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ওই সময় আহত হন সোনিয়া। এ নিয়ে পরিবারের ছয় সদস্যেরই মৃত্যু হলো।
নিহত ছয়জন হলেন দিনমজুর ও বাক্প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান (৫০), তাঁর স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৫), সাবিনা বেগম (৯) ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ও সোনিয়া আক্তার (১২)।
স্থানীয়রা জানান, বাক্প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের ঘরের ওপর দিয়ে চলে গেছে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন। মঙ্গলবার ভোরে বজ্রবৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ লাইনের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে সারা ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এ সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন মারা যায় এবং একজন আহত হয়।
জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীর ঝলসে যাওয়া সোনিয়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ বুধবার ভোরে মারা যায়।