কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও একদিন পর গতকাল সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় স্বর্ণা দাসের সঙ্গে আরও এক দম্পতি আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে স্বর্ণার মা বেঁচে যান।
তিনি জানান, সোমবার রাতে বিজিবির একটি দল বাড়িতে এসে খবরটি জানায়। স্বর্ণার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে।
স্বর্ণার মা সঞ্জিতা দাস বলেন, ‘ভারতে ত্রিপুরা থাকা ছেলেকে দেখতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। মাঝপথে মেয়েটাকে গুলি করে মেরে ফেলে হয়েছে।’
শরীফপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, ‘রোববার রাতে বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাঁদের সঙ্গে থাকা এক দম্পতিও আহত হন। গুলি থামার পর সঞ্জিতাসহ বাকিরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি আজ রাতে বিএসএফ লাশ হস্তান্তর করবে।’
বিজিবির লালারচক বিওপির কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ বলেন, কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে একজন মারা গেছেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বর্ণার লাশ এখনো আসেনি। আজ রাতে আসতে পারে।