উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে আগামী তিন দিনের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা সিলেট অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বাড়ছে। তবে এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি, পানি এবং সমতলের তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের লক্ষ্যে কন্ট্রোলরুম চালু করেছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান জানান, বন্যা পরিস্থিতির জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমের ফোন নম্বর–০১৩১৮২৪৫৭৯০।
মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং কাছাকাছি ভারতের হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে সেখানকার বৃষ্টির পানি চলে আসবে ভাটিতে। এতে সীমান্ত এলাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কুশিয়ারা ও সুরমা নদীতীরবর্তী উপজেলা ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে।
এর আগে সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোয় ঢলের পানিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। যদিও দুই দিনের মধ্যে পানি নেমেও গিয়েছিল।
এদিকে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টের বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানিও বাড়ছে। বাড়তির দিকে রয়েছে সারি ও সুরমা নদীর পানিও। তবে এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে এই তিন নদীর পানি।