সুনামগঞ্জে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগ নেতার নামে। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় নির্যাতিত ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম পাঁচজনের নামে মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইনকে।
অপর আসামিরা হলেন তাহিরপুরের আনোয়ারপুরের জেনসন দাস, ক্রিস্টাল রোজ হোটেল সাপ্লাইয়ের সিইও নিশু দাস, জামালগঞ্জের পারভেজ ও নগরের মুন্সিপাড়ার জয়দেব পার্থ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উন্নয়নকাজে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় বদরুল ইকবাল লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শফিকুল ইসলামকে সেই কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলীয় নেতা আজাদ হোসাইন তাঁকে অংশীদার করতে শফিককে চাপ দেন। বাধ্য হয়ে অংশীদার করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে শফিককে ফোনে নগরের ইলেকট্রি সাপ্লাই এলাকার ক্রিস্টাল রোজ হোটেলে ডেকে নেন আজাদ। ওই সময় তিনি স্ট্যাম্প পেপার বের করে অংশীদারত্ব ছেড়ে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেন। এতে শফিক রাজি না হলে তাঁকে মারধর করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম নিজে বলেছেন, আসামিকে হোটেলের মালিক নিশু পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এখন আমার কথা কেন? বুঝতেছি না।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।