হোম > অর্থনীতি

মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের মানুষের জন্য ২০২৪ সাল ছিল এক দুঃস্বপ্নের বছর। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় বছরের শেষেও মূল্যস্ফীতির চরম চাপ বহন করতে হয়েছে জনগণকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে গড় মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ডিসেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৯২ শতাংশে রয়েছে; যা দেশের অর্থনীতিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আজ সোমবার বিবিএসের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভোক্তা মূল্যসূচক বা সিপিআইয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি দেখা গিয়েছিল ২০১১ সালে, ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এর আগে ২০২৩ সালে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিএস।

মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য কিনতে হয়েছিল ১০০ টাকায়, সেটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তা কিনতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সায়। দেশে কয়েক মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি শঙ্কার পর্যায়ে রয়েছে। শীতের মৌসুমেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। বাজারে শুধু পচনশীল কাঁচা পণ্যের দামই কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তা ছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম একেবারেই নাগালের বাইরে।

চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে নীতি সুদহার অনেক বাড়িয়েছে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে দফায় দফায় ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ থেকে বাড়িয়ে উন্নীত করা হয় ১০ শতাংশে। ব্যাংকঋণের সুদহারও সর্বোচ্চ ৯ থেকে বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাবে শিল্প, সেবাসহ সব খাতের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডলারের বিনিময় হার। এ কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সুদহার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বেশ কয়েকবার তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাঁদের কথা শোনেনি। এ সুযোগে ব্যাংকগুলো দফায় দফায় সুদহার বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফার পাল্লা ভারী করেছে।

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধকল শুরু হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে। ওই বছরের ৫ আগস্ট তেলের দাম হঠাৎ বাড়ানোয় দেশের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। এরপর অর্থনীতিবিদেরা নানাভাবে সতর্কতা দিলেও সুদহার বাড়ায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অর্থনীতিবিদদের তোয়াক্কা না করেই তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের একের পর এক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বেকায়দায় পড়ে ব্যাংক খাত।

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী: বিএনপি

সেকশন