ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় কর ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
চিঠিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ—২০২৫ এর অনুচ্ছেদ ৩ (গ)-তে উল্লেখিত সেবা কোড এস ০১২.১০ ও এস ০১২.১৪ এর মূসকের (ভ্যাট) হার বৃদ্ধি করে যথাক্রমে টেলিফোন সেবায় ২৩ শতাংশ এবং ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবার ভ্যাট বৃদ্ধি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বেসিস জানায়, বর্তমানে দেশের তিন লাখের বেশি তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করছেন, যার ২০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার সরাসরি ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। এই ভ্যাট বৃদ্ধি তাদের কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বেসিস মনে করে, অধ্যাদেশে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ১০ শতাংশ এবং টেলিফোন সেবায় ২৩ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ই-কমার্স, এফ-কমার্স এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা আছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র আইটি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটির পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকার বেশি হলেই ভ্যাট নিবন্ধনের শর্ত আরোপ করার সিদ্ধান্তও ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এসব সমস্যা বিবেচনায় এনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বেসিস।