ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে, যার মূলে রয়েছে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়া অযোগ্যদের ঋণ বিতরণ। এভাবে অযোগ্যদের ঋণ দিলে তারা তো অর্থ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে না। ব্যবসায় ক্ষতি হবে। আর ব্যবসায় ক্ষতি হলে ঋণ ফেরত দিতে পারবে না। এ রজন্য ঋণ বিতরণ ও মনিটরিংয়ে গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্প’ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
সলীম উল্লাহ বলেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবসা অন্য ব্যবসার মতো নয়। অগ্রণী ব্যাংক পর্ষদ তা ভালো করে জানে। তারা ভালোভাবে চালাচ্ছে। তবু খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। খেলাপি কমাতে যোগ্যদের যথাযথ জায়গায় পদায়ন করতে হবে। যেন তাঁরা ঋণ বিতরণ এবং গ্রাহকের ওপর নজরদারি রাখতে পারে। তাহলে ঋণ আদায় হবে। এটি করতে না পারলে খেলাপির কারণে ব্যাংকের সব অর্জন মূল্যহীন হবে। কেননা, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের বড় মাথাব্যথা খেলাপি ঋণ।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান এখন পর্যন্ত ভালো। পূর্বের কিছু ঋণের কারণে খেলাপি কমছে না। বিভিন্ন আদালতে রিট করার সময় একটা অংশ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে খেলাপি কমে আসবে। পুরোপুরি নিষ্পত্তির পরে গ্রাহকের পক্ষ গেলে তারা অর্থ ফেরত পাবে। আর সকল রিট দ্রুত নিষ্পত্তিরও উদ্যোগ দরকার।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালক বিশ্বজিত ভট্টাচার্য খোকন, মফিজ উদ্দীন আহমেদ, কাশেম হুমায়ূন, কে এম এন মঞ্জুরুল হক লাবলু, খোন্দকার ফজলে রশিদ, তানজিনা ইসমাইল, মো. শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং পর্যবেক্ষক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।