অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজার থেকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি তুলে নিচ্ছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা। উৎপাদন ত্রুটির কারণে এসব গাড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। হোন্ডার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানর সহযোগী গাড়ি নির্মাতা ব্র্যান্ড আকুরার গাড়িও তুলে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোন্ডা জানিয়েছে, উৎপাদনে ত্রুটি থাকার কারণে এই গাড়িগুলো তুলে নেওয়া হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, মূলত উৎপাদন ত্রুটির কারণে যেকোনো সময় এসব গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হোন্ডা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান আকুরা এ বিষয়টি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সিস্টেমের কাছে পাঠানো এক নোটিশে হোন্ডা জানিয়েছে, তাদের নির্মিতি হোন্ডা ও আকুরা ব্র্যান্ডের গাড়ির ইঞ্জিনের কানেকটিং রড বেয়ারিংয়ে কিছুটা ত্রুটি রয়েছে। যার কারণে গাড়ি চলার সময় ইঞ্জিন যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে, আগুন ধরে যেতে পারে বা ইঞ্জিন ক্র্যাশ করতে পারে।
বাজার থেকে যেসব গাড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৫-২০২০ মডেলের আকুরা টিএলএক্স, ২০১৬-২০২০ মডেলের আকুরা এমডিএক্স এবং ২০১৮-২০১৯ মডেলের হোন্ডা ওডিসিস, ২০১৬, ২০১৮ ও ২০১৯ মডেলের পাইলট ও রিজলাইন। এ ছাড়া ২০১৭ ও ২০১৯ সালে উৎপাদিত কিছু গাড়িতেও এ ধরনের ত্রুটি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ নিয়ে, ১৪ তম বারের মতো বাজার থেকে গাড়ি তুলে নিচ্ছে হোন্ডা। পরিমাণের দিক থেকে এই সংখ্যা পঞ্চম বৃহত্তম। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখেরও বেশি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নিয়েছে হোন্ডা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি হোন্ডা ও আকুরার নির্দিষ্ট মডেলের গাড়িগুলো কিনেছেন তাদের জানুয়ারির প্রথম দিকেই বিষয়টি জানানো হবে। পরে সংশ্লিষ্ট ডিলার ত্রুটি তদন্ত করবেন এবং ত্রুটি পাওয়া সাপেক্ষে বিনা মূল্যে ইঞ্জিন মেরামত বা প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আকুরা হোন্ডারই একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যারা হোন্ডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেই গাড়ি উৎপাদন করে থাকে। তবে হোন্ডার এই ব্র্যান্ডটি মূলত উত্তর আমেরিকার কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, পানামা ও কুয়েতে গাড়ির ব্যবসা করে থাকে।