উচ্চ মূল্যস্ফীতিজনিত যন্ত্রণা কমানোর জন্যই প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান-২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের হাতে সনদ ও অর্থ তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ দিলে আরও ভালো হতো, কারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি; কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তো হিসাব করতে হয়।
সাধারণত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধি হয়। কিন্তু চলতি বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এর সঙ্গে বাড়তি ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বা বিশেষ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মান্নান বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়নের পেছনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, কৃষিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশন জনগণের কাছে তেমন পরিচিত নয়। তবে এখন মানুষ পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জানে। এখন মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে শিখছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সবাইকে দলগতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ যেন বাঙালির হাতে থাকে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেশের জন্য কাজ করতে হবে।