হোম > অর্থনীতি

ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে: আইএমএফ

অনলাইন ডেস্ক

দুই বছর আগের ভয়াবহ দুর্দশা কাটিয়ে ধীরে ধীরে উন্নতি করতে শুরু করেছে ঋণ জর্জরিত শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এ কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৭০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি গত মাসে নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

আইএমএফ বলেছে, প্রায় দেড় বছর সংকুচিত থাকার পর গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শ্রীলঙ্কার বার্ষিক অর্থনীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০২২ সালের প্রথম দিকে অর্থনৈতিক সংকটে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুতের তীব্র ঘাটতিতে ভুগেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদের ফলে গদি থেকে নেমে যান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণের বোঝায় নিমজ্জিত ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ২০২২ সালের এপ্রিলে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কা এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি নিয়েছিল বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে।

এরপর অর্থনীতি উদ্ধারে আইএমএফের সাহায্য চেয়ে গত বছর একটি বেলআউট প্যাকেজ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। চার বছর মেয়াদি এই বেলআউট কর্মসূচির অধীনে, দেশটি প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার আরোপ করছে কি না তা নিয়ে দ্বিবার্ষিক পর্যালোচনার পর আইএমএফ কিস্তির ২৯০ কোটি ডলার দেবে।

শ্রীলঙ্কা এখন পর্যন্ত আইএমএফ থেকে দুই কিস্তিতে অর্থসহায়তা পেয়েছে। সে সঙ্গে ভারত, জাপান ও চীনের মতো প্রধান ঋণদাতাদের কাছ থেকে পেয়েছে ঋণ মাফের প্রতিশ্রুতি। সরকার-বেসরকারি ঋণদাতাদের সঙ্গেও আলোচনা করছে দেশটি।

গত বুধবার আইএমএফ বলেছে, তাদের কর্মকর্তাদের একটি দল অর্থনৈতিক সংস্কারের দ্বিতীয় পর্যালোচনার বিষয়ে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড চুক্তিটি অনুমোদন করলে শ্রীলঙ্কা ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সর্বশেষ কিস্তি পাবে। এতে দেশটির আইএমএফ থেকে পাওয়া ঋণ পৌঁছাবে মোট প্রায় ১০০ কোটি ডলারে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পর থেকে তিনি বিদ্যুৎসংকট অনেকটাই দূর করতে পেরেছেন এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতিও অনেকাংশে কমেছে। শ্রীলঙ্কার মুদ্রাও শক্তিশালী হয়েছে এবং সুদের হার নেমেছে প্রায় ১০ শতাংশে।

তবে উচ্চ কর এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় জনরোষের সম্মুখীনও হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতিসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি কমলেও উচ্চ কর এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে শ্রীলঙ্কার মানুষ হারিয়েছে ক্রয়ক্ষমতা। অর্থনৈতিক সংকটে ভেঙে পড়া শিল্পগুলো আগের অবস্থায় না ফেরায় শ্রীলঙ্কায় বেড়েছে বেকারত্ব।

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

সেকশন