নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে শর্ত সাপেক্ষে আগাম করসহ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জাহাজশিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে ৮ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের ২৬ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আজ বুধবার এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে উন্নীত করবে। নয়তো ওই সময়ের পর থেকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কোনো জাহাজ বাংলাদেশে আসতে পারবে না। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নম্বর আইন)-এর ধারা ১২৬-এর উপধারা (৩) অনুযায়ী, সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদেশ থেকে জানা গেছে, ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পেতে হলে আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহার হবে মর্মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র শুল্কায়নের সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে।
এনবিআর বলছে, রেয়াতি হারে আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার করতে হবে। ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগে আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সব মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) আদায়যোগ্য হবে।
রেয়াতি হারে আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর না করার বিষয়টি তদারক করবেন সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা।
এ ছাড়াও আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হবে না, এমন গ্যারান্টি দিতে হবে আমদানিকারককে। এর জন্য ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা শুল্কায়নের সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে।