অনলাইন ডেস্ক
দেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশাপ্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকলেও তা নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
আজ বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। দুপুরে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে অন্যান্য দেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে এবং এর অংশ হিসেবে সুদের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নীতি সুদহার ৮ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) ১০ শতাংশে ও নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৭ শতাংশে উন্নীত করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ ছাড়া ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণের ব্যবস্থা বিলোপ করে সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদ হার নির্ধারিত হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য এর পাশাপাশি রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।’