নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষুদ্র অর্থায়ন একটি সম্ভাবনাময় খাত। দিন দিন এই খাতের গুরুত্ব বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে এ খাত থেকে ঋণগ্রহীতার সংখ্যা। যারা একসময় ঋণের জন্য মহাজনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু এখন তা থেকে বেরিয়ে আসছে তারা। যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অবদান বেড়েছে। আগের চেয়ে বেগবান হয়েছে দেশের অর্থনীতি।
গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ‘মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন বাংলাদেশ’-এর বার্ষিক পরিসংখ্যান-২০২৩ প্রকাশসংক্রান্ত কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমআরএ নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব হোসাইন। এতে সভাপতিত্ব করেন এমআরএর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান (ইভিসি) মো. ফসিউল্লাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীমউল্লাহ।
এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ক্ষুদ্র গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৯৩ লাখ। এর মধ্যে ঋণ গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৫৫ লাখ। এসব গ্রাহকের মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে ঋণদাতা হিসেবে কাজ করেছে প্রায় সাড়ে ৭০০ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মোহাম্মদ সলীমউল্লাহ বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের সুদের হার অনেক কম হলেও অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তাদের কাছে যায় না। আবার যারা যায় বিভিন্ন অজুহাতে তারা ঋণ পায় না। উল্টো হয়রানির শিকার হয়। তাই বাধ্য হয়ে তারা অধিক সুদের হার এবং সার্ভিস চার্জ উপেক্ষা করেই ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে যায়। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের বিনা জামানতে এবং ঝামেলা ছাড়াই ঋণ দেয়। সেই ঋণ পেয়ে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত করে এবং উৎপাদন বাড়ায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও আন্তরিক হতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কারও টাকা আত্মসাৎ করে না। তাদের ক্ষেত্রে ঋণ আদায়ের হার ৯৮ শতাংশের বেশি, যা দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসরণীয়।