‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’–এর ধারাবাহিকতায় সরকার এবার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের উপযোগী করে গড়ে তোলার কথা ভাবছে। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের ফলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর শক্তি পাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি এটি একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, উদ্ভাবনী, বুদ্ধিদীপ্ত এবং জ্ঞাননির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ভিত তৈরি করে দিয়েছে।
এ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বর্তমান উদ্যোগগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হলো—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট ইকোনমি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে বিস্তারিত কার্যক্রমসহ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১’ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে ২০ হাজার তরুণ–তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের লিডারশিপ, সাইবার সিকিউরিটি, উদীয়মান প্রযুক্তি ইত্যাদি যুগোপযোগী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।
বাজেট ২০২৩-২৪ সম্পর্কিত খবর আরও পড়ুন: