নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভাঙা না হলে প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে যাবে। মুরগির বাচ্চা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে দৈনিক ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মুহূর্তে প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি। যদি ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙা না হয় এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ঠাকুরগাঁওসহ সব জেলার প্রান্তিক খামার বন্ধ শুরু হবে। তাই সরকারের উচিত দেশের পোলট্রিশিল্প রক্ষায় ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারের সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা; করপোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করা; প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ ও বিশেষ প্রণোদনা চালু করা। এ ছাড়া সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে; যাতে ডিম, মুরগি ও পোলট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দেশে প্রতিদিন ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা হয় জানিয়ে বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোলট্রি খাত বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ আরও ১০-১২টি করপোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোলট্রি সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।