আমনের ভরা মৌসুমে বাজারে চালের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমলেও দেশে উল্টো বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। দেশে উৎপাদন হলেও আলুর দামও বাড়তি। আমদানি করা মসুর ও ছোলার ডালের দামেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।
আমদানি করা পণ্যের দাম বেশি হওয়ার জন্য ডলারের বাড়তি দাম ও ঋণপত্র খুলতে জটিলতাকে দায়ী করছেন আমদানিকারকেরা।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দামই কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬১-৬৩ টাকা, বর্তমানে তা ৬৩-৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে ৬১-৬২ টাকার নাজিরশাইল ৬৪-৬৫ টাকা, ৪৭ টাকার বিআর-২৮ চাল ৫০ টাকা, ৪৫ টাকার স্বর্ণা ৪৭ টাকা এবং ৪৭-৪৮ টাকার পাইজাম ৪৯-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার খুচরা চাল ব্যবসায়ী সুমন মাহমুদ বলেন, বাজারে চালের ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। এরপরও মিল থেকে দাম কিছুটা বাড়ানোয় খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আলুর সরবরাহ হচ্ছে না। বাজারে দৈনিক চাহিদা ১০০ টন হলে সেখানে আসছে ৪০-৫০ টন। বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বাড়ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর এক সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল পাইকারিতে ৫০ টাকা এবং খুচরায় ৫৫ টাকা।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের মেসার্স হালিম স্টোর থেকে ৫০০ গ্রাম ডাল কিনছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আরিফ হোসেন। দোকানি আবদুল হালিম বলেন, এই ক্রেতারা দুই কেজির কম ডাল আগে কিনতেন না। এখন বাধ্য হয়ে কম কিনছেন। আগে প্রতি কেজি মোটা দানার মসুর ডালের দাম ছিল ৯৫-১০০ টাকা, বর্তমানে তা ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমলেও দেশের বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটা-ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুদিদোকানি সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিলমালিকেরা আটা-ময়দার বস্তায় ২০-৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন। এ কারণে তাঁরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।