হোম > অর্থনীতি

রাসেলকে নিয়ে ইভ্যালি চালু করতে চান শামীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্ত করে আবার কোম্পানি চালু করতে চান তাঁর স্ত্রী (ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিন। 

গতকাল শুক্রবার রাতে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা জানান শামীমা।

শামীমা নাসরিন বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব রাসেলকে জামিনে মুক্তি করানো যায়। তাঁকে নিয়ে ইভ্যালিকে পুনরায় চালু করতে চাই।’

ছয় মাসেরও বেশি সময় কারাবন্দী থাকার পর গত ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। এর দুদিন পর গতকাল শুক্রবারই গ্রাহক ও ভোক্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভা করেন তিনি। 

সভায় অংশ নেওয়া গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, ধন্যবাদ জানাই যাঁরা ইভ্যালিকে শেষ হতে দেন নাই এখন পর্যন্ত। আপনারা জানেন, ইভ্যালির বিষয় এখন মাননীয় হাইকোর্ট কর্তৃক গঠিত কমিটি দেখছেন, তাই আমি এখন সবকিছু সরাসরি মন্তব্য করতে পারছি না। তবে কমিটি এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করব। সেই অনুযায়ী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করব কীভাবে কী করতে হবে।’

সবকিছু নতুনভাবে শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করে ইভ্যালির এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘যেহেতু জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি, কীভাবে সবকিছু আবার নতুনভাবে শুরু করা যায় সেটার চেষ্টা করব আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে। যত দিন আমরা গ্রেপ্তার ছিলাম এই খারাপ সময়গুলো আমরা ওভারকাম করতে পারব। আপনারা যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, সময় দিয়েছেন, সুযোগ দিয়েছেন, আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, আশা করি ভবিষ্যতে আরও কিছুটা সময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন যেন আমরা সবকিছু গুছিয়ে তুলতে পারি।’

আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারামুক্তির পর শামীমা নাসরিন শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। এর মধ্যেও তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভা করে এটাই প্রমাণ করলেন যে কোম্পানি পুনরায় চালু করতে এবং গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে তিনি কতটা আন্তরিক!’

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন শামীমা নাসরিন এবং তাঁর স্বামী মোহাম্মদ রাসেল। গত ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তিলাভের আগে পর্যন্ত কাশিমপুর নারী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি। 

এই দম্পতিকে আইনি সহায়তা দানকারী দলের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার জানিয়েছেন, মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে চেক প্রত্যাখ্যানের ২০টি মামলাতেই তাঁর জামিন হয়েছে। আর গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের আটটি মামলার মধ্যে চারটিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি চারটিতে জামিন হলে মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

ইভ্যালি সম্পর্কিত পড়ুন:

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

সেকশন