২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
আজ বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চামড়াশিল্পের অষ্টম লেদার টেক বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
টিপু মুন্সি বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে চামড়াশিল্প থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ১৫ লাখ কর্মী বর্তমানে এই সেক্টরে কাজ করছেন, এটা ২৫ লাখে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। আরও উন্নত প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিষয়েও কাজ চলছে।’
অ্যাপেক্সের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘কোভিড-পরবর্তী সময়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের এগোতে হচ্ছে। সরকারি সহায়তা পেলে এই খাত থেকে ১ হাজার নয়, ৫ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব। এর জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণও জরুরি।’ তিনি আরেও বলেন, ‘আমরা সস্তা নয়, শ্রেষ্ঠ পণ্য রপ্তানি করতে চাই। একটি জুতার কারখানার একটি সিঙ্গেল লাইনে ১ হাজার লোক লাগে। তাই এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। আমাদের সেটা কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরেও বক্তব্য রাখেন এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবেশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে, বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মো. শাহীন খানসহ অন্যরা।
আয়োজকেরা জানান, ১০টি দেশের প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, যন্ত্রপাতি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রযুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকের মধ্যে আছে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।