কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামীকাল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠককে সামনে রেখে আজ রোববার ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বেইজিংয়ের বৈঠকে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো, সুদ–আসলে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চীনের জোরালো ভূমিকা নেওয়া, বাংলাদেশ থেকে চীনে কোটা ও শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটির সহযোগিতা চাইবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানান, বাংলাদেশের জন্য ঋণের সুদের হার কমানোর বিষয়টি তাঁর সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এর বাইরে অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের বিষয়ে উপাত্ত লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে যে চুক্তি করতে চেয়েছে, তা উপদেষ্টার এই সফরেই সইয়ের জন্য দেশটি প্রস্তুত আছে।
চীনের তিব্বত অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া ইয়ার্লুং সাংপো নদী ব্রহ্মপুত্র নদ নামে ভারত হয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যমুনা নামে বয়ে চলেছে।
রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য চীন সবকিছু করবে।
উপদেষ্টার চীন সফর আগামী ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশে চীনের ঋণের পরিমাণ জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিটি ঋণের সুদের হার এক নয়। আমরা মোটাদাগে সুদের হার কমানোর কথা বলব। ঋণ পরিশোধের সীমা চেষ্টা করব ৩০ বছরে নিয়ে যেতে; যেন আমাদের অর্থনীতির ওপর চাপ কম আসে এবং পরিশোধ করতে সহজ হয়।’
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) গণমাধ্যমকে জানায়, চলমান চীনা ঋণের সুদের হার এক শতাংশে নামিয়ে আনতে ও ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ বছর করতে চীনকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বেইজিংকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে চীনা ঋণের সুদের হার দুই থেকে তিন শতাংশ এবং পরিশোধের সময়সীমা ২০ বছর।