গৌতম আদানি হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন দুই দিন আগেই। এবার আরও একটি সুখবর পেলেন। মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে ফের ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা পেলেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গেছে। খবর এনডিটিভির।
গত বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, হিন্ডেনবার্গ মামলায় তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মামলায় এসইবিআইয়ের তদন্তের ওপরই ভরসা রাখার নির্দেশ উচ্চ আদালতের। যার পর গতি পায় ধনকুবেরের গোষ্ঠীর শেয়ার। বিশেষত, আদানি পোর্টস ও অম্বুজা সিমেন্টস পৌঁছে যায় গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সেরা অবস্থানে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, এক দিনের ব্যবধানে ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে এই মুহূর্তে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ লাখ ১১ হাজার ৫৮৪ কোটি রুপি। তাঁর থেকে সামান্য দূরেই রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আম্বানি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছর নিউইয়র্কের শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর কার্যত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের ধস নেমেছিল আদানিদের শেয়ারে। সেই ধাক্কা সামলে ফের দ্রুত হারে বেড়েছে এই গোষ্ঠীর বাজার মূলধন। তারই প্রতিফলন ধরা পড়ছে নতুন তালিকায়।
বিশেষত, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পাওয়ায় আদানির ‘কামব্যাক’ দেখছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁকে বলতেও শোনা গেছে, ‘সত্যের জয় হয়েছে। যাঁরা আমাদের পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এভাবেই ভারতের উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাব। এবার এশিয়ার ধনীতমর তকমাও ফিরে পেলেন তিনি।
প্রথম প্রজন্মের এই উদ্যোক্তা আশির দশকে হীরার ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এটিই আদানির সবচেয়ে ঘটনাবহুল বছর। গত বছর আদালতের দায়মুক্তি আদানিকে ১৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন সম্পদ অর্জনের সুযোগ দেয়।
আদানির প্রতিষ্ঠান পরবর্তী দশকে ব্যবসাকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ছাড়া কয়লা ব্যবসার পরিবর্তে ডেটা সেন্টার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নগর উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং মিডিয়াতেও দ্রুত বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগ করছেন আদানি।