বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন (আইপি) দিতে যাচ্ছে সরকার। পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ-সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
কৃষিসচিব জানান, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। শিগগির পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুত বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সব সময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগির পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে সভায় জানানো হয়।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ছিল (কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা)। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিলেন। সে জন্য পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এ বছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।