Ajker Patrika
হোম > অর্থনীতি

ডলারের জন্য সব দিকে চোখ

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ডলারের জন্য সব দিকে চোখ

ইউক্রেন যুদ্ধের পরেই লাগামছাড়া হয়ে ওঠে ডলার। বৈদেশিক এই মুদ্রার সংকট দেশেও তীব্র আকার ধারণ করে। ডলার সাশ্রয়ে সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপসহ ডজনখানেক পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু ডলার নামক পাগলা ঘোড়াকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবু আশার ভেলা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাসহ বিদেশ থেকে ডলারে ঋণ পেতে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। কিছুটা সুফলও মেলে। তাতে কিন্তু বশ মানেনি ডলার।

সর্বশেষ বৈদেশিক হিসাবগুলো সুদ প্রদান এবং টাকার বদলে ব্যাংকের ডলার নেওয়া শুরু করে। এসব পদক্ষেপ কার্যকরের মধ্য দিয়েও মাত্র আড়াই বছরে ৮৪ টাকার ডলার ১১০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। খোলাবাজারের প্রতি ডলার ১৩১ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। আর ৪৮ বিলিয়নের ডলার নেমে আসে ২৪ বিলিয়নে। ডলারের মূল্যপতনের জন্য দুর্বল পদক্ষেপকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। 

সূত্র জানায়, ডলারের প্রবাহ বাড়াতে সম্প্রতি ডলার-টাকা অদলবদল (সোয়াপ) পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ১১৬ টাকা দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রেখে টাকা নিতে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ নেই। যা এই পদ্ধতি কার্যকরের বড় বাধা হবে। এদিকে দেশে ডলার-সংকট কাটাতে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খুলে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আমানতের বিপরীতে সুদ মিলবে ৭ থেকে প্রায় ৯ শতাংশ। কিন্তু ডলার তো অবৈধ চ্যানেলে লেনদেন করলে বেশি দাম পাওয়া যায়।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার-সংকটে লেনদেনের হার নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত দরে ডলার লেনদেন করছেন না অনেকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে প্রবাসী আয় আরও কমতে পারে। আবার ডলার-সংকটে কিছু আমদানি বাতিল হতে পারে। এতে প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। যার প্রভাবে টাকার মূল্য কমবে। আর তেজ বাড়বে ডলারের। যদিও সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানিতে মার্জিন বৃদ্ধিসহ কিছু কঠিন শর্ত দিয়েছে। কিন্তু ডলারের সংকট দূর হচ্ছে না। ফলে রিজার্ভ অর্ধেকে নেমেছে। এ জন্য অধিক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। আর ডলারের দর ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। যা পরের দুই বছরে হয় যথাক্রমে ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আর গতকাল তা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা প্রায় ২০ বিলিয়ন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেট ১১০ টাকা। খোলাবাজারে এই রেট ১২৩ টাকা। তবে গত নভেম্বরে ছিল ১৩১ টাকা পর্যন্ত। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার-সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলেও সম্প্রতি ডলারের দাম তৃতীয় দফায় ১ টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে। আর পদক্ষেপ নিয়েছি বলে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। বিশেষ করে নিত্যপণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। আবার নতুন কেনাও হয়েছে। সবার আগে দেশের মানুষ। অপরদিকে আমাদের চলতি হিসাবে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে। সুতরাং পদক্ষেপ কাজ করছে না—এমনটা বলার যৌক্তিক কারণ নেই।’

কোথায় থেমে সংস্কার, ব্যাখ্যা দাবি

‘ভুল নীতিতে’ বস্ত্র খাত এখন চরম সংকটে

তিন মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত

২৩ দিনেই ২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক রেমিট্যান্সে

স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সরকারের সহায়তা চায় অর্থনীতি সমিতি

ভিই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস ও রানার গ্রুপের অংশীদারত্ব আরও দৃঢ়করণ

ভারত থেকে সুতা আসছে ডাম্পিং মূল্যে, দেশের সুতা পড়ে থাকছে গুদামে: বিটিএমএ

পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে মার্চে

ছাঁটাই নিয়ে টেলিকম খাতে অস্থিরতা

গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হলে অর্থনীতির বড় ক্ষতি