Ajker Patrika
হোম > অর্থনীতি

সৌদি আরব-রাশিয়ার সিদ্ধান্তে বিশ্বে তেলের দামে রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরব-রাশিয়ার সিদ্ধান্তে বিশ্বে তেলের দামে রেকর্ড

জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, দাম আরও বাড়তে পারে। সৌদি আরব ও রাশিয়া স্বেচ্ছায় জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণার দেওয়ার পর এই প্রথম দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেন্ট জ্বালানির দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ৩৫ ডলার। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর ব্রেন্ট জ্বালানির দাম এই নতুন রেকর্ড করল। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৮০ ডলার। ১০ মাস আগে এর দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৮৯ দশমিক ০৯ ডলার। 

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া ও সৌদি আরব তাদের অবস্থান বিদ্যমান রাখলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

Total Culzean Oil platform North Sea (2)চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরব ও রাশিয়া তাদের জ্বালানি তেল উৎপাদন কম রাখার সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। দেশ দুটি মিলে আগের তুলনায় প্রতিদিন অন্তত ১৩ লাখ ব্যারেল কম জ্বালানি উৎপাদন করছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসও উৎপাদন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

জ্বালানি উৎপাদক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। সংগঠনটির অনুমান ছিল, ২০২৪ সালে প্রতিদিন তেলের চাহিদা বাড়বে ২২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি ছিল প্রতিদিন ২৪ লাখ ৪০ ব্যারেল। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ওপেক প্লাস যদি জ্বালানি উৎপাদন কম রাখে, তবে তা চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি তৈরি করবে। সংস্থাটি বলছে, আগামী বছরও চাহিদা বাড়বে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও জ্বালানির চাহিদা বাড়বে। তবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়া ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোকে সুবিধা দিলেও উন্নয়নশীল উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর ওপর তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমনকি এর ফলে এসব দেশে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ: প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতায় বিশাল ফারাক

কেনাকাটার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এলো ‘চয়েস’

বাঘাবাড়ী নৌপথে নাব্যতা-সংকট

ব্যাংক এশিয়ায় আর্থিক সাক্ষরতা দিবস— ২০২৫ পালন

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির

প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সেবা দেবে পেট্রোকেম ও ব্র্যাক ব্যাংক

আলোচনা ছাড়া কর-শুল্ক বাড়ানোয় সংকটে শিল্প ও সেবা খাত

নারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা চায় ওয়েন্ড

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

নারায়ণগঞ্জে সাত মাসে ২৩ কারখানা বন্ধ, বেকার হাজার হাজার শ্রমিক