ইরাকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই সহায়তা চেয়েছে।
বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতের প্রচার এবং এই শিল্পের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে পোশাক কূটনীতির অংশ হিসেবে বিজিএমইএ–এর প্রতিনিধিদল প্রতিশ্রুতিশীল বাজারগুলো পরিদর্শন করছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিজিএমইএর প্রধান কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের সঙ্গে নতুন বাজার অনুসন্ধান।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এর সম্ভাবনা, রূপকল্প এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিল্পের মূল কৌশলগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। ফারুক হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, দূতাবাস ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং ইরাকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিজিএমইএকে সহায়তা করার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি ইরাক সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক আখ্যানগুলো ও শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং দেশটির পোশাক শিল্পকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলকে ইরাকের বাজারে বাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে দূতাবাসের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ইরাকে সফররত প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন বিজিএমইএ–এর সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, বাংলা পোশাক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল, বাংলা পোশাক লিমিটেডের পরিচালক মো. শওকত হোসেন ও বনিকা ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশের খান।