অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সহজ যোগাযোগ এবং বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের জন্য বাংলাদেশে বিদেশিদের জন্য সম্ভাবনাময়ী দেশ। বিশেষ করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, পদ্মাসেতু বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। এসব সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম দুবাই চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী লোথার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতিমধ্যে জাপান, ভারত ও কোরিয়া বিনিয়োগ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, পায়রা ও মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীরা সুবিধা নিয়ে দু-দেশের ব্যবসা প্রসারিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের সুনাম বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে লাভবান হতে পারেন।’
দুবাই চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী লোথা বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুবাই চেম্বারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি দলও গঠন করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ান, আবুধাবি দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মিজানুর রহমান ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্লোবাল মার্কেটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেম আল শামসি, ডিরেক্টর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যান্ড প্রটোকল অফিসার সুমায়া আল শামসি প্রমুখ।