৩৫টি কোম্পানি বাদ দিয়ে বাকিগুলোর শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর প্রথম দিন দরপতন হলেও দ্বিতীয় কর্মদিবসেই পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা গেল। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত মাসের বেশি সময় পর লেনদেন ছাড়াল হাজার কোটির ঘর।
গত বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ১০ শতাংশে সার্কিট ব্রেকারে লেনদেন শুরু হয় রোববার। সূচকের পতন হয় ৯৬ পয়েন্ট। সোমবারও লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে সূচক পড়ে যায় ৫১ পয়েন্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। ১০টা ১৭ মিনিট থেকে বাকি সময় ইতিবাচক প্রবণতা দিয়েই শেষ হয় লেনদেন।
শেষ পর্যন্ত সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ১৪ পয়েন্ট যোগ হয়ে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্ট। ২০৭টি কোম্পানির দর বাড়ে, ১৪৫টির দরপতন এবং ৪০টির দর অপরিবর্তিত থেকে শেষ হয় লেনদেন। এটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেই বিশ্বাস করেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সারা দিনে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা ৫৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক সিইও সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যেমন বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, তেমনি অনেক ব্যক্তিও শেয়ার কিনেছেন। এত দিন কৃত্রিম ব্যবস্থায় বাজার আটকে ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন।