হোম > অর্থনীতি

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ: দাম ও চাহিদা বেড়েছে এসি-ফ্যানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশব্যাপী প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রা কখনো ৩৮ আবার কখনো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। ঘরের বাইরে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বাসার ভেতর থাকলেও সার্বক্ষণিক প্রয়োজন হচ্ছে বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র তথা এয়ারকন্ডিশনার (এসি)।  গরমে দুর্বিষহ এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মানুষ ভিড় করছেন ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে। যেখানে ধুম পড়েছে এসি ও ফ্যান কেনার। আবার গরমের তীব্রতায় অস্বস্তি থেকে বাঁচতে অনেকে ছুটছেন ডাব, তরমুজ, আনারসসহ দেশীয় ফলের দোকানে।

দিনকয়েক আগেও ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানগুলোয় এসির ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। তবে তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ায় দোকানে দোকানে বেড়েছে ক্রেতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ফ্যান ও এসির দামও। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট, বিজয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ঘুরে এসব দৃশ্যের দেখা মেলে। 

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে একটি দোকানে এসি কিনতে আসেন কমপক্ষে ১০ জন ক্রেতা। কারও এক টন কারও প্রয়োজন দুই টনের এসি। দরদাম দেখছেন সঙ্গে বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছেন কেউ কেউ। তেজকুনীপাড়া থেকে আসা ক্রেতা হান্নান বলেন, গরমে অসহ্য হয়ে পড়েছি। ফ্যানের বাতাসে কাজ হয় না। তাই এসি কিনতে এসেছি। তবে এসির দাম অনেক বেড়েছে। কিছুদিন আগে যে এসি ৪৫ থেকে ৫২ হাজারের মধ্যে পাওয়া যেত এখন সেটা ৬০ হাজার টাকা।

শাহজাহানপুর থেকে আসা ক্রেতা তৌফিক হাসান বলেন, শীতের মধ্যে অনেক অফার ছিল। তখনই কেনা ভালো। এখন দাম বেশি পড়ছে। তবু একটা এসি কিনতে হয়েছে। বাসায় বৃদ্ধ বাবা গরমে কাবু হয়ে গেছেন। 
দাম বাড়া প্রসঙ্গে গ্রি শোরুমের বিক্রয়কর্মী মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের কোনোটিরই দাম বাড়েনি। বরং চাহিদা থাকায় পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ার টেনশনে আছি। প্রচুর বিক্রি হচ্ছে।’

ফ্যানের দামও চড়া 
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে দাম বেড়েছে ৩০০-৫০০ টাকা। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যান। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে ৪ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো বাড়ছে। 

স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকের বিক্রেতা রশিদ বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকেই চার্জার ফ্যান বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। এক সপ্তাহে দাম বেশ বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনছি, সেভাবেই দাম সমন্বয় করে বিক্রি করছি।’

ডাবে আগুন, তরমুজে স্বস্তি
প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে ডাব ও তরমুজের। স্বস্তি পেতে কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়েই খাচ্ছেন তরমুজ। তবে রাজধানীর কাকরাইল ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বস্তি পেতে ডাব খেতে গিয়ে দাম শুনেই পড়ছেন অস্বস্তিতে। প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। একেবারে ছোট আকৃতির ডাবই কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। 

ডাব বিক্রেতা মো. হোসেন বলেন, একটি ডাব কেনা পড়ে ১২০ টাকায়। তার ওপর আনার খরচ, রাস্তায় বসার খরচ তো আছেই। ১৬০ টাকা তো কমই বিক্রি করতেছি। ডাবের দাম বেশি হলেও তরমুজে অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। একদম ছোট আকৃতির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি তরমুজ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রেমিট্যান্স সংগ্রহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন জনতা ব্যাংকের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ ফের যাচাই করা হবে: গভর্নর

একীভূত পাঁচ ব্যাংকের নামের সাইনবোর্ড বদলাচ্ছে আজ-কালের মধ্যেই: গভর্নর

সীমাবদ্ধতার মাঝেও সাফল্যের গল্প