হোম > অর্থনীতি

অন্তর্ভুক্তিমূলক জনমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট: ঢাকা চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জনমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে এক তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, 'বিশ্ব অর্থনীতি যখন কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত, এই কঠিন সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ এ প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এই সময়ে এরূপ অগ্রগতিমূলক ও অর্জনযোগ্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আমাদের মাঝে আশার সঞ্চার করছে। উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটাতে হবে যা অনেকাংশে চ্যালেঞ্জিং। তবে বাজেটে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি পুনর্বাসন, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধিকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় ডিসিসিআই।' 

তবে এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে দাবি করে ডিসিসিআই সভাপতি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রিজওয়ান রাহমান বলেন, '২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আয়তন ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা বিগত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি এবং মোট জিডিপির আকার দাঁড়াবে আনুমানিক ৩৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তাই এই অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণের জন্য করের আওতা বাড়ানো, অনাদায়ি কর আদায়, জেলা শহরের রাজস্ব আদায় বাড়ানো, স্বচ্ছতা ও কর প্রদান প্রক্রিয়ায় অটোমেশন প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান করদাতাদের ওপর নতুন করে করের বোঝা আরোপ না করে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সঞ্চয়পত্র, সমবায় নিবন্ধন, ডাকঘরে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ই-টিন বাধ্যতামূলক করায় কর সংগ্রহের আওতা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।' 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আরও বলেন, 'অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির করপোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। এই ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগের জন্য ডিসিসিআই সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তবে করপোরেট কর হার পর্যায়ক্রমে আরও হ্রাস করা প্রয়োজন যাতে কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারে। পাশাপাশি, বাজেটে নতুন শিল্পে যেমন হোম অ্যাপলায়েন্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তিতে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ওয়ান পারসন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, তবে পর্যায়ক্রমে এই কর হার আরও কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি তাতে করে ক্ষুদ্র ও ছোট বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবে।' 

বাজেটে দেশীয় শিল্পের বিকাশে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে হোম এপ্লায়েন্স সামগ্রী, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট, স্টিল, ইলেকট্রনিক ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করে ডিসিসিআই। 

করোনাকালীন সময়ে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, তাই রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প, চামড়া, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য এবং ওষুধ পণ্যসমূহের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি যৌক্তিককরনের পাশাপাশি আমদানি করা ফল ও সবজিতে ৫ শতাংশ হারে আরোপিত কর হ্রাস করার প্রস্তাবও করেছে ঢাকা চেম্বার। 

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

সেকশন