টানা তিন কর্মদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে কিছুটা দর সংশোধন হয়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে পাঁচ শ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে, যা ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত সপ্তাহে গুজবের কারণে চার কর্মদিবসের মধ্যে তিন দিনই দরপতন দেখা যায়। সূচক কমে ৭৬ পয়েন্ট। তবে শেষ কর্মদিবসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি অংশীজনদের সঙ্গে দুটি বৈঠকে পর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। ওই দিন মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। তবে লেনদেন দুই শ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনই সূচক বাড়ে। গতকাল সোমবার লেনদেনও গতি ফেরে।
এ পরিস্থিতিতে আজ লেনদেনের একদম শুরুর দিকে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তিন দিন দরবৃদ্ধির কারণে লেনদেন শুরুর পরপরই এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ার জন্য বিক্রির চাপ বাড়ান। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম পতন থেকে বেরিয়ে আসে। এতে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে আবার এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সব কটি সূচক কমে শেষ হয় দিনের লেনদেন।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ৫৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির। আর ১৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর প্রভাবে সাধারণ সূচক ডিএসই এক্স ৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সূচক কমলেও টানা ১৩ কর্মদিবস পর পাঁচ শ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে। দিনভর ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত ২ আগস্ট ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর গতকাল লেনদেন হয় ৪৯৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।