পরপর তিন মাস দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় থাকলেও গত নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে সামগ্রীক ব্যবসা সম্প্রসারণের গতি কমেছে। ডিসেম্বরে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা পিএমআইয়ের সার্বিক মান শূন্য দশমিক ৫ কমে ৬১ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নভেম্বরে যা ছিল ৬২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে খাতওয়ারি হিসাবে, উৎপাদন খাত এবং নির্মাণ খাতের সম্প্রসারণ দ্রুততর হয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে পিএমআই প্রণয়ন করে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এমসিসিআইয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ডিসেম্বরের পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়। এতে বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে গত মাসে অর্থনীতির সম্প্রসারণের চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মূলত কৃষি এবং সেবা খাতের প্রসারণের গতি ধীর হওয়ার কারণে সামগ্রিক পিএমআই কমেছে। তবে উৎপাদন খাত এবং নির্মাণ খাত প্রসারণ দ্রুততর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআইয়ের সচিব ফারুক আহমেদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হাসনাত আলম ও সিনিয়র অ্যানালিস্ট জিয়াউর রহমান।
কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও পরবর্তীতে গণ–অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—তিন মাস দেশের অর্থনীতি সংকোচনের ধারায় ছিল। অক্টোবর থেকে তা সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে।
অর্থনীতির মূল চারটি খাতের কার্যক্রমের ভিত্তিতে পিএমআই তৈরি করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা। পিএমআই সূচকের মান ৫০ পয়েন্টের বেশি থাকা মানে অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচকেরা বলেন, ডিসেম্বরে পিএমআই সূচক কিছুটা কমলেও নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করছে। কারণ অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো সম্প্রসারণের ধারায় দেখা গেছে। দেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো দূর হলে পিএমআই সূচক আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।