হোম > অর্থনীতি

বাংলাদেশের পর রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ইউনিক্লো

রাশিয়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাকের জাপানি ব্র্যান্ড ইউনিক্লো। রুশ গণমাধ্যম ইজভেস্তিয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকেও পোশাকের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইউনিক্লো। 

রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী ভিক্টর ইয়েভতুখভ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ইউনিক্লোর মালিক প্রতিষ্ঠান ফাস্ট রিটেইলিংয়ের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্স কোনো মন্তব্য নিতে পারেনি।

২০২২ সালের মার্চে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ আখ্যা দিয়ে ফাস্ট রিটেইলিংসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়া থেকে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী দৈনিক ইজভেস্তিয়াকে বলেন, ‘ইউনিক্লো সম্পূর্ণরূপে রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকারের কাছে এখনো আবেদন করেনি।’ 

ভিক্টর ইয়েভতুখভ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যবসার মডেলটি সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রির প্রস্তাব দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া চাইলে যাবতীয় সরঞ্জামসহ এখানাকার জনপ্রিয় বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে ইজারাও দিতে পারে তারা।’ 

২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রামীণ ইউনিক্লো নামে বাংলাদেশে পোশাক ব্যবসার উদ্যোগ নেয় ফাস্ট রিটেইলিং। ২০১৩ সালে ঢাকায় প্রথম শোরুম খোলে প্রতিষ্ঠানটি। এর ১০ বছরের মাথায় গত ১১ মে ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় এই কোম্পানি।  আগামী ১৮ জুন থেকে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি শোরুম বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্যবসা বন্ধ করার সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে ওয়েবসাইটে দেওয়া জরুরি নোটিশে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে গ্রামীণ ইউনিক্লো। তাতে ‘বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের’ পাশাপাশি ‘ব্যবসায় পরিবেশে পরিবর্তনের’ কথা তুলে ধরা হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সেই সঙ্গে ব্যবসায় পরিবেশের পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান মনে করছে যে, ব্যবসার একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায় কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

গ্রামীণ ইউনিক্লো বন্ধ হলেও বাংলাদেশে ফাস্ট রিটেইলিংয়ের কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। জাপানভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা বহুজাতিক কোম্পানিটি ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। শোরুম বন্ধ হলেও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ইউনিক্লোসহ ফাস্ট রিটেইলিংয়ের জন্য বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদন চালু থাকবে বলে নোটিশে জানানো হয়। 

সেই সঙ্গে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য গৃহীত ফাস্ট রিটেইলিংয়ের চলমান কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে। পোশাক কারখানায় নেতৃত্বের ভূমিকায় বাংলাদেশের নারীদের সামনে আনতে ২০১৯ সালে ইউএন উইমেনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কর্মসূচিটি চালু করা হয়েছিল।

ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

শেভরনের সহায়তায় সিলেটে ৬০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফেরা

আরও ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দিনে ১৭২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

এখন থেকে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করা যাবে নগদে