দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ৩৫ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। গত তিন মাসের দরপতনের বিপরীতে এমন উত্থান বিশেষ কিছু মনে না হলেও বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
ঈদের আগে ধারাবাহিক দরপতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে যায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। ঈদের পরে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন সবাই। তবে ঈদের পর ১২ কর্মদিবসের মধ্যে গতকালসহ মাত্র ৩ দিন উত্থান হয়েছে।
চরম হতাশার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করেছিল চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারের উত্থান। ওই দিন বিএসইসির চেয়ারম্যানের পুনর্নিয়োগ পাওয়ার প্রজ্ঞাপনের খবরে ডিএসইতে সূচক বাড়ে ৯৭ পয়েন্ট। পরের দিন সোমবার আবার দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল লেনদেন শেষে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর মধ্যেও ৯টির দাম এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই বাড়ে। আর দাম কমেছে ২০৪টির ও ৪৬টির অপরিবর্তিত ছিল। এতে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
ফলে ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময় ও সূচকের বর্তমান অবস্থানের পার্থক্য দাঁড়াল ২৭৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ ঈদের পরের উত্থান যোগ করার পরও সূচকে ওই পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে মূল্যসূচক বাড়ার সঙ্গে লেনদেন বেড়ে দিনভর হাতবদল হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিনে ছিল ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
গতকালের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৫ মার্চ, যেটি ৩৪ কর্মদিবস আগে। ওই দিন লেনদেন হয় ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।