আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বেশি।
ঘাটতি বেশি হলেও অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার। আজ শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হলেও ব্যাংক খাতে প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ব্যাংকের তারল্যের সঙ্গে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
অর্থসচিব বলেন, ‘আমরা এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। রাজস্ব বাড়লে ব্যাংক ঋণের ওপরে চাপ পড়বে না। তা ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বৈদেশিক ঋণের চাপ কমাতে আমরা অভ্যন্তরীণ উৎসের দিকে আছি। আবার সঞ্চয়পত্রে সুদহার বেশি হওয়ায় সেখান থেকেও আমরা কম অর্থ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।