হোম > অর্থনীতি

বিদেশি গাড়ি মেকানিকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে জাপান, সুযোগ বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে গাড়ি উৎপাদনে জাপানিদের সুখ্যাতি আছে। টয়োটা, হোন্ডা, নিশানসহ অনেকগুলো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের উৎসভূমি জাপান। এবার দেশটির গাড়ি নির্মাণ শিল্প বিদেশি মেকানিকদেরও সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আর তাতে সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশি মেকানিকদের জন্যও। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই জাপানের কারিগরি কলেজগুলোতে পড়তে ভিড় জমাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সংখ্যাটা একেবারে সামান্য নয়। আর এই বিদেশিদের কাজে লাগাতে আগ্রহী জাপানের গাড়িশিল্পের কোম্পানিগুলো। টয়োটা, হোন্ডা ও নিশানের মতো জাপানি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোই এ ধরনে কারিগরি কলেজগুলো পরিচালনা করে থাকে। 

জাপান জনসংখ্যার সংকোচনের কারণে উৎপাদন ধরে রাখতে কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী সময়ে গাড়ি নির্মাণশিল্পে দক্ষ মেকানিকের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হতে চাইছে। দেশটির গাড়ি নির্মাণ শিল্পে এরই মধ্যে বিদেশি শ্রমিকদের প্রবেশ অনেকটাই বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে টোকিওর টয়োটা টেকনিক্যাল স্কুলের পরিচালক ইয়োশিহিরো ওয়াকাবায়াশি জানান, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত তাদের স্কুলের ৪০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে টয়োটায় যোগ দিয়েছে। 

তবে জাপানি তরুণেরা গাড়িশিল্পে না আসায় হতাশ ইয়োশিহিরো ওয়াকাবায়াশি। এমনকি তিনি এই শিল্পে নেপালি ও ভিয়েতনামী তরুণদের প্রবেশ করতে দেখে খানিকটা উদ্বিগ্নও। জাপানি তরুণেরা এই শিল্পে আগ্রহী না হওয়ায় তিনি দেশটির উৎপাদন খাতের ঐতিহ্য ধরে রাখা নিয়েও শঙ্কিত। 
 
গত বছরের অক্টোবরের হিসাব অনুসারে, জাপানে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। এই ২০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ২৭ শতাংশই আবার উৎপাদন খাতে জড়িত। জাপানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, দেশটির উৎপাদন খাতের মোট বিদেশি শ্রমিকের এক-চতুর্থাংশই ভিয়েতনামের। এরপর আছে চীন ও ফিলিপাইন। 

ভিয়েতনামিদের এই প্রাধান্য টের পাওয়া যায় জাপানি টেকনিক্যাল স্কুলগুলোতে তাঁদের শিক্ষার্থীর পরিমাণ থেকেই। ২০২২ সালে জাপান স্টুডেন্টস সার্ভিস অর্গানাইজেশন প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, সে বছর দেশটির টেকনিক্যাল স্কুলগুলোর মোট বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশই ছিল ভিয়েতনামের। ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে নেপাল আছে দ্বিতীয় স্থানে। এরপর ১০, ৭ ও ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে যথাক্রমে আছে শ্রীলঙ্কা, চীন ও বাংলাদেশ। 

ভিয়েতনামিদের প্রাধান্য থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ধীরে হলেও বাড়ছে। এ বিষয়ে হোন্ডা টেকনিক্যাল কলেজের পরিচালক আয়ুমি নাকাজিমা বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কারিগরি কলেজগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেড়েছে। কারণ তাঁদের দেশে গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় মেকানিকের চাহিদাও বেড়েছে।’ 
 
নাকাজিমার মতে, যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে জাপানে যাওয়া কারিগরি খাতের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই জাপানের গাড়ি নির্মাণ শিল্পে তাঁদের প্রবেশের সুযোগও বাড়ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ছাত্র ভিয়েতনাম, চীন ও অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসত। কিন্তু এখন বেশির ভাগই নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসছে।’

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

সেকশন