দেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)। সংগঠনের নেতারা বলছেন, জনশক্তি রপ্তানি খাতকে গতিশীল করতে হলে বায়রাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এই খাতে যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বায়রা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বায়রার সভাপতি আবুল বাশার আত্মগোপনে চলে গেলে তিনি সংগঠনের দায়িত্ব নেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের খাতকে গতিশীল করতে হলে বায়রাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এ খাতে যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের অর্থ ফেরতের দায় সিন্ডিকেটেরই নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, সেই সিন্ডিকেটকেই টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সময় তিনি বায়রার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আলম বলেন, বায়রা সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিন স্বপন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারী, বেনজির আহমেদসহ আরও কয়েকজন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে টাকা পাচার ও অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তাদের সিন্ডিকেটেরে কারণে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে।
বিগত সরকার এই সিন্ডিকেটকে মদদ দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের কারণেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার চাহিদার বিপরীতে কর্মী যেতে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে বিএমইটি সম্পন্ন করা। অতিরিক্ত শ্রম অভিবাসন ব্যয়ের কারণে আবারও এই বাজার বন্ধ হয়েছে।