রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘দশম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫’। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (রিমস) যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করছে। আগামী মঙ্গলবার শুরু হয়ে এ মেলা চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের মেলায় ২২টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ‘১২তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫’, ‘ফুড ইনগ্রেডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৫’ এবং ‘বেকটেক এক্সপো ২০২৫’ নামেও আরও তিনটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এই মেলায় বিভিন্ন প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে বিশ্বের ১২৫টি দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই কৃষকের কাছে পৌঁছায়, কারণ ২৫ শতাংশ বিদেশি ইনগ্রেডিয়েন্ট বাদ দিলে পুরো কাঁচামালই কৃষকের উৎপাদিত পণ্য। বাপার লক্ষ্য কৃষকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে এ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক আহসান খান চৌধুরী বলেন, এ মেলার মাধ্যমে দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত খাতের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা সম্ভব হবে। বিশ্বের উন্নত কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তি এ মেলার মাধ্যমে দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। এতে দেশি উদ্যোক্তারা নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।
বাপার সভাপতি মো. আবুল হাশেম বলেন, বর্তমানে বাপার সদস্যসংখ্যা ৪৭৯। এ সদস্যরা বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ১৪৫টির বেশি দেশে রপ্তানি করছে। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ২২ শতাংশ, যেখানে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ২ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে বাপা কাজ করছে।