নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন বাজেটে কৃষিকে অন্য সবকিছুর ওপরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিতে হবে। মূলত কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করা সম্ভব। পোলট্রি পণ্য, ফিশারি পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ঋণনীতি যৌক্তিক করতে হবে। ভর্তুকির নীতিও যৌক্তিক করা উচিত। বাজেটে এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে কৃষিতে অর্থ বরাদ্দে প্রাধান্য দিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘দ্য পলিটিক্যাল ইকোনমি অব এগ্রারিয়ান ফিউচার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ফেলো ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সাত্তার মণ্ডল ও ইউকের ইউনিভার্সিটি অব বাথের অধ্যাপক ড. জিওফ উড। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘এত গবেষণা ও আলোচনা অর্থহীন হবে, যদি আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে একটা পরিবর্তন না আনতে পারি। আমাদের কৃষির পণ্য বাছাই করে বাড়তি নজর দিতে হবে। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ এখনো সরাসরি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং কৃষি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলে হবে না। যেসব উন্নত প্রযুক্তি এসেছে, সেগুলো নিয়ে আসতে হবে।’
ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘আমাদের অনেক কৃষিজমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। অথচ আজকে যাঁরা শহরে আছেন, তাঁরাও সারা বছরের খাবারের জন্য গ্রামের মানুষদের মুখের দিকে চেয়ে থাকেন।’
অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এখনই ভাবতে হবে এ রকম জমি কমে যাওয়ার প্রবণতার মধ্যেও আমরা কীভাবে উৎপাদন দ্বিগুণ করব। সব মিলিয়ে প্রতিটি জমিতে উৎপাদন বাড়াতে নতুন উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, কৃষিজমিতে প্রচুর নগরায়ণ হচ্ছে। এটা কৃষিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গ্রাম এলাকায় এখন শিল্প বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হচ্ছে।