কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আরও ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। আমদানির ফলে দাম কমে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশা।
গতকাল সোমবার দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পেঁয়াজভর্তি কার্গো জাহাজটি পৌঁছায় বলে বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. আনোয়ার হোসেন জানান।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে। এসব পেঁয়াজ জাহাজ থেকে খালাস করার পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা শুরু হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজভর্তি আরও একটি জাহাজ এসেছিল।
স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা বন্ধ ছিল। মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মধ্যে প্রায় ৯ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এ কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে মিয়ানমারের মধ্যকার সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার বিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, একটি কার্গো জাহাজে করে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য স্থলবন্দরে পৌঁছেছে। এতে ৩৩ হাজার ব্যাগ পেঁয়াজ, শুঁটকি মাছ, শুকনো সুপারিসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। শুল্ক আদায়ের পর পেঁয়াজগুলো খালাস করে দ্রুত ট্রাকভর্তি করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করা হবে ।
স্থানীয় আমদানিকারকরা বলছেন, প্রায় ১১ মাস পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হল। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় ৫৭৭ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দেশে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা ।