বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বিশ্বের সর্বাধুনিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট যান যুক্ত হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের টয়োটা সুশো করপোরেশনের নির্মিত ১৮টি ব্র্যান্ড নিউ কার্গো ব্যাগেজ টো ট্রাক্টর ও বিশ্ব বিখ্যাত ফ্রান্সের টিএলডি কোম্পানির তৈরি দুইটি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট পুশ ব্যাক টো ট্রাক্টর বা পিবিটিটি।
আজ সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যানবাহন শাখায় আয়োজিত এক কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান জিএসই বিভাগে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও শতাধিক অত্যাধুনিক ব্র্যান্ড নিউ গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট যুক্ত করবে।
জিএসইয়ের পাশাপাশি বিমান যানবাহন শাখার অধীনে ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ স্টেশনসমূহে বিভিন্ন ধরনের মোট ৫৩টি সেডান কার, ৬৩টি মাইক্রোবাস,৩টি পাজেরো জিপ,৬টি পিক-আপ ভ্যান,২টি অ্যাম্বুলেন্স,৪টি মোটরসাইকেল ও একটি মিনিবাস রয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৪টি ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা সেডান ভি. আই. পি কার বিমান যানবাহন বহরে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এবং ৯টি নতুন টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাস ও আরও একটি টয়োটা সেডান ভি. আই. পি কার বিমান যানবাহন বহরে শিগগিরই যুক্ত হবে।
মাঝে কোভিডের কারণে সাময়িক ধাক্কা লাগলেও বিমান এখন পূর্ণ গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শফিউল আজিম বলেন, গড়ে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ১৭২টি উড়োজাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। হজের সময় দুই শতাধিক উড়োজাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়। বিমানের গ্রোথ এখন আট থেকে নয় শতাংশ। বিমানের ওড়ার এখনই প্রকৃত সময়। বিশ্ব অ্যাভিয়েশন খাতের অত্যাধুনিক বিমান ও ইকুইপমেন্ট থাকায় বসে থাকার সুযোগ নেই বিমান কর্মীদের।
উড়োজাহাজ কেনার কিস্তি সময়মতো পরিশোধ হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিমানের তুলনা করব বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। অথচ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, এ কারণেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আজ লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।