২০২০ সালে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি টেকসই ব্যাংকের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক সাস্টেইনেবল রেটিং প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ রেটিং-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে শীর্ষ দশটি টেকসই ব্যাংক এবং শীর্ষ পাঁচটি এনবিএফআই (ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান)-এর তালিকা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, `এটা সত্যিই গর্বের বিষয় যে আমরা দেশের শীর্ষ দশটি টেকসই ব্যাংকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছি। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে আমাদের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্টের সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা ও প্রতিষ্ঠানে টেকসই কর্মসূচি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার কারণে। ব্যাংকের জন্য টেকসই হওয়ার মূল চাবিকাঠি হলো তার সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) কর্মসূচির বাইরেও কৌশলগতভাবে গ্রিন এবং টেকসই অর্থায়নে অবদান রাখা। এর বাইরে, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে সময় মতো প্রতিবেদন দাখিল, পরিবেশগত ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার কার্যকারিতার মাধ্যমে ঝুঁকি প্রশমন এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।'
সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সুসংহত নীতি এবং শাসন কাঠামো রয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফিন্যান্স ইউনিট টেকসই কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করা হয়। বিশ্বের শীর্ষ রেটিং এজেন্সি দ্বারা বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং পাওয়া ব্র্যাক ব্যাংক তার সুশাসনের জন্য বেশ কয়েকবার স্বীকৃতি পেয়েছে।
হোসেন আরও বলেন, `আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, ব্যাংকযোগ্য জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্প, গ্রিন বন্ড এবং এসডিজিতে ব্যাংকের অবদানে আমাদের পথ অনুসন্ধান এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখব। ব্র্যাক ব্যাংকের বৈচিত্র্যময় ব্যবসায়িক মডেল আমাদের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। যার মাধ্যমে আমরা অচিরেই দেশের এক নম্বর টেকসই ব্যাংক হিসেবে পরিচিতি পাব।'