দীর্ঘদিন পর দেশের পুঁজিবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আরও এক দিন ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়ে। ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১৫৯ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন বাড়ে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের পুরো সময় অব্যাহত থাকে। তবে শেষ দিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়।
দিন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৯টির দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে হল্টেড (এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই বেড়েছে) হয়েছে ১৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরের পর এখন সূচকটি সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছে। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে ছিল।
সব কটি মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।