নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেশে আর্থিক স্থিতিশীলতা নীতি বা স্ট্যাবিলাইজেশন প্রিন্সিপাল ভীতি ছিল। গত পাঁচ মাসে তা অনেকটা কেটে গেছে। তবে সেই অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংক খুব খুশি নয়। আর চলতি বছরের শেষ নাগাদ ব্যাংকভিত্তিক পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অর্থ ফেরত নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এই বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে না।’ আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
হুসনে আরা শিখা বলেন, দেশে আর্থিক স্থিতিশীলতা নীতি ভীতি ছিল। গত পাঁচ মাসে তা অনেকটা কেটে গেছে। তবে সেই অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংক খুব খুশি নয়। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, ডলার বাজার স্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে বহু উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে। আবার কিছু ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়। তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এই বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে না।’